Sunday, March 20, 2016

দোহার নবাবগঞ্জ স্থানীয়মুকসুদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী প্রার্থী আব্দুল হান্নান খানের একান্ত সাক্ষাৎকারমাআব্দুল হান্নান খানআব্দুল হান্নান খান, এবার মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্

আব্দুল হান্নান খান, এবার মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তিনি ছিলেন দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। এক সময়ের ঢাকা জেলা শিক্ষক সমতির প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান খান এখন হতে চান জনগণের প্রতিনিধি। আওয়ামীলীগ উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এই নেতা সবসময় ছিলেন জনগণের পাশে। এখনও তিনি চান জনগণের সেবায় থেকে পিতা আনছার আলী খান ও বড় ভাই ইন্সপেক্টার জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন আব্দুল মান্নান খানের জনসেবার ব্রত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে। নিউজ৩৯ এর পক্ষ থেকে সাক্ষাৎ নিয়েছেন আছিফুর রহমান সজল ও সম্রাট হোসেন।
প্রশ্ন: আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন?
আব্দুল হান্নান খান: আমি আব্দুল হান্নান খান, আমি মুকসুদপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহন করি। আমার পিতা মরহুম আনছার আলী এই ইউনিয়নেরই সন্তান। আমি মুকসুদপুর ইউনিয়নেরই শামসুদ্দিন শিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। শামসুদ্দিন শিকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টার কমপ্লিট করি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং এ অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করি। এবং কেরানীগঞ্জের ইসপাহানি কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেই। এরপর ১৮ বছর শিক্ষকতা শেষে ২০০১ সালে আমি লন্ডন চলে যাই। সেখানে ৮ বছর কাটিয়ে ২০০৮ সালে দেশে ফেরত আসি। এরমাঝে একবার লন্ডনে আমি একটি ডিপ্লোমায় করি। এছাড়া আমি ঢাকা জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করি।
প্রশ্ন: আপনার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বলুন?
আব্দুল হান্নান খান: আমি ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলাম। সক্রিয় ভাবে সব সময় না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সব সময় ছিলাম। বড় ভাই জজ আব্দুল মান্নান খান ছিলেন একসময় ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এছাড়া আমি দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। আমি বর্তমানে আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক। এছাড়া আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষনা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।
প্রশ্ন: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ইউনিয়ন পরিষদকে কিভাবে গড়ে তুলবেন?
আব্দুল হান্নান খান: আপনারা জানেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত ক্ষমতার ভিতরেই অনেক কিছু সম্ভব যদি কেউ ইচ্ছা করে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে। আমি এই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই। একজন এলাকার সন্তান হিসাবে আমি মুকসুদপুর ইউনিয়নকে পরিকল্পীতভাবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, আপনি জানেন কি না জানি না, মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোন ভবন নাই যা অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ব্যাপার। এই ইউনিয়ন দেশের অনেক সফল মানুষকে জন্ম দিয়েছে, সালমান এফ রহমান, নাজমুল হুদা, এ আর খান, আইজিআর আব্দুল মান্নান খান এই ইউনিয়নের সন্তান। তারপরও দেখেন এই ইউনিয়নে এখনো সেরকম অবকাঠামো নেই। আমি নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অবকাঠামো প্রথমে গড়ে তুলবো। প্রতিটি ওয়ার্ড বাসী যেন তার ওয়ার্ডেই ইউনিয়ন পরিষদের সব সেবা পেতে পারে এই ব্যবস্থা আমি গড়ে তুলবো।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানানে, দোহার উপজেলা একটি নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। এই এলাকা পদ্মার ছোবলে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে। নদী শাষনের জন্য সালমান এফ রহমান একনেক-এ ২১৬ কোটি টাকার বিল পাশ করিয়েছেন। এই বিলের কাজ শুরু হলে দোহার পদ্মার কড়াল গ্রাস থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। সেই সাথে এই জায়গায় বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে এই এলাকার মানুষ যেমন অর্থনৈতিক ভাবে সাবল্মবী হবে তেমনি এখানে গড়ে উঠবে বিভিন্ন স্থাপনা। এই উন্নয়নের সাথে যেন আমার ইউনিয়ন তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে জন্য আমি আমার ইউনিয়নকে নিয়ে কাজ করে যাব।
প্রশ্ন: এলাকার যুব সমাজের জন্য কি করার ইচ্ছা আছে?
আব্দুল হান্নান খান: আমি ব্যক্তি গত ভাবে একজন ব্যবসায়ী। ২০০৮ সালে আমি লন্ডন থেকে ফেরৎ আসার পর এই ইউনিয়নেই পল্ট্রি ফার্ম শুরু করি। সেই হিসাবে আমি একজন উদ্যোক্তাও। আমি চাইবো এলাকার যুব সমাজ যাতে চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেই কিছু করুক। কিন্তু এই জায়গায় একটা সমস্যা আছে। সমস্যা হলো এই মুকসুদপুর দোহার উপজেলার অন্যতম একটা ধনী ইউনিয়ন। আপনি মুকসুদপুরে এমন কোন ঘর পাবেন না যেখানে এক দুইজন পরিবারের সদস্য প্রবাসে নাই। টাকা কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হলো কর্ম। দেখেন দোহারে মাদক সমস্যা প্রকট। একটা ছেলে কেন মাদকাসক্ত হবে। মাদকাসক্ত হচ্ছে কারন তার করার কিছু নাই। আমি এই সব ছেলেদের নিয়ে বসবো। তাদের যদি আপনি বোঝাতে পারেন তারাই আপনার কথা সবচেয়ে ভাল ভাবে শুনবে। আপনি তাদের কাজ দিন। আমি নিয়মিত তাদের নিয়ে বসবো। দরকার পড়লে আমি তাদের পরিবারের সাথে কথা বলবো। প্রতিদিন অন্তত দুই জন যুবকের পরিবারের সাথে তাদের বাড়ি গিয়ে আলোচনা করবো। তাদের যেভাবে মাদকের হাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। এছাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের এই মুকসুদপুর থেকে উচ্ছেদ করবো। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রশাসনের কারো ইন্ধন ছাড়া এই মাদক ব্যবসা সম্ভব নয়। আমি এই সব মাদক ব্যবসায়ীকে মুকসুদপুর থেকে সমূলে উচ্ছেদ করবো

No comments:

Post a Comment