Friday, March 18, 2016

উপচে পড়ছে রেমিট্যান্স?? এক ভাই ১৫ বছর ধরে সৌদি থাকেন। পাঁয়ে ব্যথা, দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। গতমাসে দেশে এসেছিলেন হাঁড়ের চিকিৎসা নিতে। বয়স হয়েছে, এবার চলে আসেন.. বলতেই উত্তর দিলেন, কষ্ট করে আর ক'টা দিন.. ছেলেটার মাস্টার্স শেষ না হতে কেমনে আসি! ১৫ বছর প্রবাস জীবনের ব্যালেন্স বলতে দেশে দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। এক মামা আমেরিকা থাকতেন। ওনার বদৌলতে এখন কয়েকমামা আমেরিকা থাকেন। প্রত্যেকের নিজনিজ বাড়িগাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে সেখানে। ছেলেমেয়েরা আমেরিকার সিটিজেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরী করেন। মাঝে মাঝে দেশে এসে গেট-টুগেদার করেন। টেনশন ফ্রি। সব প্রবাসীই কি দেশে টাকা পাঠায়? যিনি বিদেশে পড়াশুনা করে চাকরি করেন, তার কাছে বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়ে সেটেল হওয়াটাই মুখ্য। অশিক্ষিত, কম শিক্ষিত যেসব প্রবাসীর কাছে এরকমটি দুঃস্বপ্ন, কেবল তারাই রেমিট্যান্সে বড় ভুমিকা রাখেন। যদিও প্রবাসজীবন শেষে এদের অবস্থা মাইনাস প্লাসে যা হয়.. তা-ই। বেকারত্বের যন্ত্রণায় ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশ যাবার স্বপ্ন দেখে এরা। নানান দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকবার নাকানি চুবানি খেয়ে একসময় বিদেশ রওয়ানা হয় কামলা হিসেবে। দেশের বিমানবন্দর এদের কাছে মনে হয় হাবিয়া দোযখের মতন গরম কড়াই। এন্ট্রি দিয়ে ঢুকে বিমানে উঠতে উঠতে ভাজা কৈমাছ। এই কমশিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষগুলোর সাথে বিমানবন্দরের 'শিক্ষিত' 'ভদ্র' মানুষগুলোর ব্যবহার দেখলে, যে কোন মানুষ তার সন্তানকে শিক্ষিত করতে দু'বার ভাববে। নিজ দেশের এয়ারপোর্ট প্রবাসিদের কাছে আখিরাতের পুলসিরাত। এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে? ব্যাগেজ রুলসে অনেক গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিশেষ সুবিধা আছে, এদের জন্য কই? এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে? বিমানবন্দরে কত ভিআইপির জন্য লাউঞ্জ খালি পড়ে থাকে, এদের জন্য দড়ি দিয়ে মার্ক করা কয়েক গজ জায়গা কই? এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে? এদের ঘামের রেমিট্যান্সে ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি আমদানি করা হয়, এদের ব্যবহারের টিভিটা দেশে আনতে ট্যাক্সফ্রি আইন কই? উপচে পড়ছে রেমিট্যান্স? প্রবাসীদের মোটা মানিব্যাগ দেখেন, ঘাম দেখেন না???? Collected

উপচে পড়ছে রেমিট্যান্স??

এক ভাই ১৫ বছর ধরে সৌদি থাকেন। পাঁয়ে ব্যথা, দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। গতমাসে দেশে এসেছিলেন হাঁড়ের চিকিৎসা নিতে। বয়স হয়েছে, এবার চলে আসেন.. বলতেই উত্তর দিলেন, কষ্ট করে আর ক'টা দিন.. ছেলেটার মাস্টার্স শেষ না হতে কেমনে আসি!  ১৫ বছর প্রবাস জীবনের ব্যালেন্স বলতে দেশে দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা।

এক মামা আমেরিকা থাকতেন। ওনার বদৌলতে এখন কয়েকমামা আমেরিকা থাকেন। প্রত্যেকের নিজনিজ বাড়িগাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে সেখানে। ছেলেমেয়েরা আমেরিকার সিটিজেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরী করেন। মাঝে মাঝে দেশে এসে গেট-টুগেদার করেন। টেনশন ফ্রি।

সব প্রবাসীই কি দেশে টাকা পাঠায়? যিনি বিদেশে পড়াশুনা করে চাকরি করেন, তার কাছে বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়ে সেটেল হওয়াটাই মুখ্য। অশিক্ষিত, কম শিক্ষিত যেসব প্রবাসীর কাছে এরকমটি দুঃস্বপ্ন, কেবল তারাই রেমিট্যান্সে বড় ভুমিকা রাখেন। যদিও প্রবাসজীবন শেষে এদের অবস্থা মাইনাস প্লাসে যা হয়.. তা-ই।

বেকারত্বের যন্ত্রণায় ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশ যাবার স্বপ্ন দেখে এরা। নানান দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকবার নাকানি চুবানি খেয়ে একসময় বিদেশ রওয়ানা হয় কামলা হিসেবে। দেশের বিমানবন্দর এদের কাছে মনে হয় হাবিয়া দোযখের মতন গরম কড়াই। এন্ট্রি দিয়ে ঢুকে বিমানে উঠতে উঠতে ভাজা কৈমাছ।

এই কমশিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষগুলোর সাথে বিমানবন্দরের 'শিক্ষিত' 'ভদ্র' মানুষগুলোর ব্যবহার দেখলে, যে কোন মানুষ তার সন্তানকে শিক্ষিত করতে দু'বার ভাববে। নিজ দেশের এয়ারপোর্ট প্রবাসিদের কাছে আখিরাতের পুলসিরাত।

এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে?
ব্যাগেজ রুলসে অনেক গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিশেষ সুবিধা আছে, এদের জন্য কই?

এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে?
বিমানবন্দরে কত ভিআইপির জন্য লাউঞ্জ খালি পড়ে থাকে, এদের জন্য দড়ি দিয়ে মার্ক করা কয়েক গজ জায়গা কই?

এতই গর্ব প্রবাসিদের নিয়ে?
এদের ঘামের রেমিট্যান্সে ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি আমদানি করা হয়, এদের ব্যবহারের টিভিটা দেশে আনতে ট্যাক্সফ্রি আইন কই?

উপচে পড়ছে রেমিট্যান্স?
প্রবাসীদের মোটা মানিব্যাগ দেখেন, ঘাম দেখেন না????
Collected

No comments:

Post a Comment