বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল উদ্বোধন করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল উদ্বোধন করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শনিবার সকাল পৌনে এগারটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি)ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন তিনি। এরআগে শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা হন তিনি।
ছয় বছর আগে ‘নানান মানুষ, নানান পথ, দেশ বাঁচাতে ঐক্যমত’- স্লোগানে পঞ্চম কাউন্সিল হলেও এবারের স্লোগান করা হয়েছে- ‘দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’।
তিন পর্বে অনুষ্ঠান:
তিন পর্বে ভাগ করা বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের কর্মসূচির মধ্যে উদ্বোধনী পর্বে আছে- জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, দলীয় পতাকা উত্তোলন, ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির পতাকা উত্তোলন ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, কাউন্সিল-২০১৬ এর জন্য তৈরি থিম সং পরিবেশন এবং বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রামায়ন, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মধ্যাহ্নভোজ ও নামাজের বিরতির পর বিকাল ৩টায় শুরু হবে দলের মূলপর্ব- জাতীয় কাউন্সিল।
আইইবি মিলনায়তনে রুদ্ধদ্বার কাউন্সিলে ‘চেয়ারপারসন ও ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’পদে নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে দলের গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন পেশ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ, সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যায় তৃতীয় পর্বে থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর শেরে বাংলা নগরে তৎকালীন চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল হয়েছিল।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রমনার বটমূলে প্রথম কাউন্সিল করেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার ১৯৮২ সালের ফেব্রয়ারিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় এবং বেগম খালেদা জিয়া ১৯৮৯ সালে তৃতীয় কাউন্সিল করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে।
১৯৯৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির চতুর্থ কাউন্সিল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হানান শাহ , ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ওসমান ফারুক, এম এ মান্নান, মেজর জেনারেল(অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা তৈয়মুর আলম খন্দকার, কাজী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের মধ্যে রয়েছেন, ড. কর্নেল অলি আহমেদ, সৈয়দ মোগাম্মাদ উবরাহিম বীর প্রতীক, মাওলানা আব্দুল হালিম, শফিউল আলম প্রধান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাহাদৎ হোসেন সেলিম, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুৎফর রহমান, মুফতি মোহাম্মাদ ওয়াক্কাস, খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জেবেল রহমান গানী, মহিউদ্দিন ইকরাম, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মোস্তফা জামাল হায়দারগোলাম মোস্তাফা ভূইয়া উপস্থিত রয়েছেন।
বিদেশী অতিথিদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য সিমন ডান্স জাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি সাইমুন ব্যাঞ্জক, প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ফিল বেনিওনর , বিট্রিশ এ্যম্বসিরি পলিট্যাক্যাল প্রতিনিধি এ্যাডড্রিন উপস্থিত আছেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, সুকোমল বড়–য়া, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, রুহুল আমিন গাজী, মাহবুবুল্লাহ, এম এ আজিজ, এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
No comments:
Post a Comment